কম্পিউটার ব্যবহার বা অপারেট করার জন্য কিছু মৌলিক কাজ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - মেকানিক্যাল ড্রাফটিং উইথ ক্যাড-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
1

৪ কম্পিউটার ব্যবহার বা অপারেট করার জন্য কিছু মৌলিক কাজ।

8.1) কম্পিউটারে ব্যবহৃত ফাইলঃ কম্পিউটারের কোন ফাইল বলতে কোন তথ্য ভান্ডারকে বুঝানো হয়। অর্থাৎ যে জায়গাতে আমাদের তথ্য সংরক্ষিত রাখি তাকে ফাইন্স বলি। ফাইল বিভিন্ন ফরমেটে হয়ে থাকে। অডিও ফাইল বিভিন্ন ফরম্যাটে হয়ে থাকে যেমন MP3, WAV, WMV, এবং AIF ইত্যাদি হিসাবে রয়েছে, Txt ফাইলগুলির অন্যান্য উদাহরণ হল পিডিএফ, আরটিএফ এবং ওয়েব পেজ

আর কতগুলি ফাইল যে জায়গার ভিতর রাখা হয় তাকে ফোল্ডার বলে। আমরা বলেতে পারি একাধিকফাইল একটি ফোল্ডারের ভিতরে রাখা হয়ে থাকে।

নিয়ে ফাইল এবং ফোল্ডারের চিত্র দেয়া হলো।

*** ফাইলের কাজঃ কোন ডাটা ফাইলে লিখে রাখা হয়। অর্থাৎ কোন ডাটা লিখে রাখার জন্য যে ডকুমেন্ট ব্যহার করা তাহাকে ফাইল বলে। ফাইলে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য লিখে রাখি।

ফোল্ডারের কাজঃ অনেকগুলো ফাইল বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে তাহা খুজে পেতে আমাদের অনেক অসুবিধা হয় এবং সময় নষ্ট হয়ে থাকে। তাই মূলত ফোল্ডার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কতগুলো ফাইলকে এটি ফৈাল্ডারের ভিতরে রাখা হয়ে থাকে। ফাইল ও ফোল্ডারের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলোঃ

ফাইলফোল্ডার

কম্পিউটারের সহায়ক মেমোরিতে নাম দিয়ে সেভ 

করা বিষয়/ডকুমেন্টকে ফাইল বলে

কোনো ডাইরেক্টরি, যার তত্ত্বাবধানে ফাইল থাকে

তাকে ফোল্ডার বলে।

ফাইলের মধ্যে ফোল্ডার রাখা যায় না ।ফোল্ডারের মধ্যে ফাইল রাখা যায়।
ফাইল হলো তথ্যের আধার।ফোল্ডার হলো ফাইলের আধার।
কম্পিউটারে কোনো চিঠিপত্র, ডকুমেন্ট টাইপ করে মনিটরের পর্দার ফাঁকা স্থানে মাউসের ডান বাটনে
ফাইলের Extension থাকে যা দেখে ফাইলের | ফোল্ডারের কোনো Extension থাকে না।
ফাইল দুই প্রকার হয়ে থাকে।ফোল্ডারের প্রকারভেদ নেই।
যেমনঃ অডিও ফাইল বিভিন্ন ফরম্যাটে যেমন এর কোন ফরমেট নেই।

৪.২) ফাইল ও ফোল্ডারসমূহ পরিবর্তন করাঃ ফাইল ও ফোল্ডারসমূহ পরিবর্তন করা এক এক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একেক রকম। ধরি আমরা উইন্ডোজ ১০ এর ফোল্ডার/ফাইলের নাম পরিবর্তন করবো। সেহেতু আমরা উক্ত ফাইলের উপরে রাইট মাউস ক্লিক করলে রিনেম কথা লেখা আসবে। তারপর আমাদের কাঙ্খিত নামটি লিখলেই হলো। এভাবেই ফাইল এবং ফোল্ডার উভয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়ে থাকে ।

 

৪.৩) ফাইল ও ফোল্ডারের প্রপার্টিসঃ ফাইল ও ফোল্ডারের প্রপার্টিস বলতে উক্ত ফাইল বা ফোল্ডারটির অবস্থান, কতটুক মেমোরী ব্যবহার হয়েছে ফোল্ডারে কয়টি ফাইল আছে ইত্যাদি বিষয়ে সার্বিক তথ্য।
ফাইল বা ফোল্ডারের প্রপার্টিস দেখার জন্য উক্ত ফাইল বা ফোল্ডারের উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করতে
হবে। তারপর ”Properties” লেখার উপর ক্লিক করলে আমরা ফাইল বা ফোল্ডারের প্রপার্টিস দেখতে
পারবো।

চিত্রঃ ফাইল বা ফোল্ডারের প্রপার্টিস

8.8) স্টোরেজ ডিভাইজ ফরমেট দেয়াঃ স্টোরেজ ডিভাইজ ফরমেট দেবার জন্য নিম্নলিখিত কাজগুলো
করতে হবে।
ক) প্রথমে যে ড্রাইভ বা ভিভাইস ফরমেট দিতে হবে সেটি সিলেক্ট করতে হবে।

 খ) তারপর সিলেক্ট করা জায়গার উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করতে হবে। 

গ) এরপর কুইক ফরমেট (Quick Format) লেখার উপর ক্লিক করতে হবে।

ঘ) এরপর চিত্রের মত এটি সতর্কবার্তা আসবে। এরপর এটির OK লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে।

৩) তারপর ফরমেট শুরু হবে এবং কিছুক্ষনের ভিতর ফরমেট শেষ হলে নিচের বার্তাটি দেখাবে। অর্থাৎ আমাদের ফরমেট করার কাজ শেষ হয়েছে

৪.৫) ছাটা ব্যাকআপ নেওয়াঃ

ডাটা ব্যাকআপ নেয়া অর্থ ডাটা কপি করা। অর্থাৎ যে ডাটা ব্যাকআপ বা কপি করতে হবে সেটির উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করতে হবে। তারপর কপি লেখার উপর ক্লিক করতে হবে। তাহলে উক্ত ডাটাটি কপি হয়ে যাবে। তারপর যেখানে এটি রাখতে হবে বা পেন্ট করতে হবে সেখানে যেতে হবে। তারপরে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করতে হবে। এরপর পেস্ট (Paste) লেখা বাটনের উপরে ক্লিক করতে হবে। এভাবে আমরা কোন কোন ডাটাকে ব্যাকআাগ নিতে পারি। তবে এছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে ডাটা ব্যাকআপ নেয়া যায়।

৪.৬) পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং পরিবর্তন করাঃ

i)প্রথমে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্টার্ট (Start) বা অফিস বাটন ( Office Key) ক্লিক করে “Control Panel এ ক্লিক করতে হবে। অথবা সার্চবারে “Control Panel” লিখলে এই মেনুটি আসবে। পরে “Control Panel এ ক্লিক করতে হবে।

ii) তারপর “User Accounts and Family Safety” তে ক্লিক করতে হবে। মনে রাখতে হবে একেক অপারেটিং সিস্টেমে একেক ভাবে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। তবে মুল বিষয়গুলি একই।

iii) এরপর “User Accounts” এ ক্লিক করতে হবে।

iv) এরপরে "Change your password" এ ক্লিক করো।

v) নিচের চিত্রানুযারী কাজগুলো করতে হবে ।

১) আপনার বর্তমান পাসওয়ার্ডটি দিতে হবে, তবে বর্তমানে কোন পাসওয়ার্ড না থাকলে দিতে হবে না। ২) নতুন [ পাসওয়ার্ড দিতে হবে। ৩) নতুন পাসওয়ার্ড কনফার্ম করতে হবে। ৪) পাসওয়ার্ড হিন্টস প্রদান করতে হবে (বাধ্যতামূলক নয়) ।
৫) এইভাবে খুব সহজেই ডেক্সটপ বা ল্যাপটপের পুরাতুন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

 

Content added By
Promotion